শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি

জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে শুরু ‘গাছ আলু’ চাষ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি-ফাইল

সময়ের সঙ্গে কৃষিতে এসেছে পরিবর্তন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভূমির ব্যবহার বাড়ায় গ্রামাঞ্চলে বাড়ির আঙিনা ও ঘরের পাশে ঝোঁপ-ঝাড় হারিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হওয়া পুষ্টিগুণে ভরা গাছ-আলু বিলুপ্তির পথে হলেও জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে মাঁচা পদ্ধতিতে আবাদ শুরু হয়েছে।

সাধারণ আলুর চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই আলু চাষ করে আর্থিকভাবে  লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। বাজারে এই সবজির চাহিদা থাকায় অনেকেই ফসলটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। 

অধিক লাভের আশায় জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ গ্রামের কৃষক অজিত চন্দ্র মহন্ত অন্য ফসল বাদ দিয়ে ২০ শতক জমিতে ‘গাছ আলু’ চাষ করেছেন।

মাঁচা পদ্ধতিতে চাষ করা এই আলু মাটির নিচে একেকটি ৩ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়। মাটির নিচের আলু ছাড়াও গাছে ঝুলন্ত আলুও সবজি ও বীজ হিসেবে ব্যবহার হয়। গরমের শুরুতে এই ফসলের চাষ করা হয়, আর শীতের শুরুতে ফলন আসে ।

সাধারণ আলুর মতো শর্করা ছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়ামসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আঁশ। যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন: কচুরমুখী চাষে বদলাচ্ছে ভাগ্য, স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

কৃষক অজিত চন্দ্র মহন্ত বলেন, গাছ আলু চাষের জন্য জমি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর এখান থেকে উৎপাদিত আলু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা করছি।

এক বিঘা জমিতে ২৫০ থেকে ৩০০ মণ ফলন আসে। আমার দেখাদেখি অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই আলু চাষে।

মালিদহ গ্রামের কৃষক নিমাই চন্দ্র বলেন, এমন আলুর চাষ আগে কোথাও দেখিনি। আমারও ইচ্ছা আছে গাছ আলু চাষ করা। 

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় আমরা উচ্চমূল্যের ফসল সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি।

এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। নিরাপদ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কারিগরি সহযোগিতা, বিশেষ ক্ষেত্রে প্রদর্শনী এবং উপকরণ সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

এসি/ আই. কে. জে/



গাছ আলু চাষ

খবরটি শেয়ার করুন